যে চেয়ারে বসলেই মৃত্যু

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২০, ২০১৭ সময়ঃ ৮:৫৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক:

chair 02১৭০২ সালের কথা। থমাস বাসবি নামে এক লোককে তার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হলে বাসবি তার অতিপ্রিয় পানশালাতে গিয়ে নিজের প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। খাবার শেষ করে সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এবং বলে ওঠে, ‘এই চেয়ারে যে বসবে সে হঠাৎ করেই মারা যাবে।’

এরপরের দুইশ বছর পার হয়ে গেলেও চেয়ারটি সেই পানশালাতেই রয়ে যায়। কেও তাতে বসত না। কারো কখনও সাহস হয়নি ওই চেয়ারে বসার।

Chair 01এরপর শোনা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি ঘটনা । একজন বৈমানিক সেই পানশালাতে এসে সেই অভিশপ্ত চেয়ারে বসলেন। এরপর তিনি আর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর দুইজন পাইলট ওই চেয়ারে বসেছিলেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে পানশালা থেকে বের হয়েই তারা এক ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা যান।

জানা যায় ১৯৭০ সালে একজন স্থপতি এই চেয়ারে বসে এই অভিশাপ ভুল প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন। সেদিন বিকেলেই  তিনি এক গর্তে পড়ে মারা যান।

১৯৭২ সালে চেয়ারটি নিয়ে যাওয়া হয় ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের স্থানীয় জাদুঘরে। ওটা জাদুঘরও নয়, বাসবি স্টপ ইন নামের সরাইখানা। চেয়ারটিতে যাতে কেও বসতে না পারে সেজন্য এটি মাটি থেকে ৫ ফুট উপরে ঝুলিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

অভিশপ্ত এই চেয়ারটি ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন রহস্য । তিনশো বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো সম্ভব হয়নি এই রহস্যের উন্মোচন। হয়তো ইতিহাসের এক কাহিনী হয়ে এই রহস্য থাকবে হাজার হাজার বছর ।

প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G